
চাষী সেবা ডেস্ক: উচ্চ ফলনশীল আলুর জাত ‘বারি আলু-৮১’ নামে নতুন এ জাত চাষের জন্য উন্মুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড (এনএসবি)।
সম্প্রতি কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনএসবির সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জাতটি আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্র (সিআইপি) থেকে সংগৃহীত। ক্লোনের মধ্য থেকে উৎপাদিত সিআইপি-১০ লাইন থেকে জাতটি করা হয়েছে। জাতটি উচ্চ ফলনশীল, দ্রুত বর্ধনশীল ও ভাইরাস রোগ সহনশীল। প্রস্তাবিত আলুর জাতটি খাবার আলু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।’
প্রস্তাবিত পাটের জাতটি (বিজেআরআই তোষা পাট-৮) বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত। এটিও দ্রুত বর্ধনশীল ও অধিক ফলনশীল।
নতুন আলুর জাতের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এ আলুর গাছ মধ্যম উচ্চতাসম্পন্ন এবং চার-ছয়টি কাণ্ডবিশিষ্ট। ৯০-৯৫ দিনে পরিপক্বতা লাভ করে আলু। এটি খাটো ও ডিম্বাকৃতির। আলুর চামড়া হলুদ ও মসৃণ। শাসের রঙ হালকা হলুদ, চোখ মধ্যম গভীর।
‘বারি আলু-৮১’ উন্মুক্তের আগে ছয়টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ (ট্রায়াল) করা হয়। সেখানে এ জাতের ফলন প্রতি হেক্টরে ৩৯ দশমিক ৬৬ টন। চেকজাত ‘বারি আলু-৭ (ডায়মন্ড)’ এর ফলন প্রতি হেক্টরে ২৮ দশমিক ১ টন। মাঠ মূল্যায়ন দল ট্রায়াল করা ছয়টি স্থানের মধ্যে পাঁচটি স্থানে প্রস্তাবিত জাতকে ছাড়করণের পক্ষে এবং একটি স্থানে বিপক্ষে মতামত দিয়েছে বলেও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি নতুন জাতের ডিইউএস টেস্টও (অনুমোদনের জন্য নতুন জাতের বৈশিষ্ট্য, সমরূপতা ও স্থায়িত্বের পরীক্ষা) সম্পন্ন করা হয়। নতুন আলুর কৌলিক সারি ‘বারি আলু-৮১’ হিসেবে ছাড়ের জন্য কারিগরি কমিটি সুপারিশ করে। কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, জাতটি সারাদেশে চাষাবাদের জন্য ছাড়করণের অনুমোদন দেয় এনএসবি।