এম,এ,মোহসীন, চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম)সংবাদদাতা: চন্দনাইশে শীত কালীন শিম চাষে চাষিদের মুখেহাসি আভা দেখা দিয়েছে। শীত মৌসুমে শিম চাষে কৃষকদের আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি। বিভিন্ন রকমারি সবজি চাষের মধ্যে শীমের চাষ হয়েছে উপজেলার সর্বত্রে।
কাঞ্চনাবাদ, হাসিমপুর, জামিরজুরী, দোহাজারী, সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, বরমা, বরকল, হারালা, জোয়ারাসহ চন্দনাইশ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও শিমের চাষে ব্যাপক ফলন হয়েছে। চন্দনাইশের চাষিদের উৎপাদিত এ সব শিম এখানকার চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় প্রতিদিন রপ্তানি হয়।মাসের পর মাস বছর ঘুরে বদলে দিচ্ছে শিম চাষে কৃষি অর্থনীতি। বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য ।
কৃষক মুহাম্মদ মুছা জানান, শিম চাষের জন্য বেশী জমি দরকার হয় না। অন্যান্য ফসলের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সব্জি ক্ষেতের চার পাশের আটিতে শিম চাষ করা যায়। সারা বছরই এ শিমের চাষ হয়। কৃষককের চাষাবাদে সরকারী ভাবে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা পেলে সারা বছর কৃষি কাজে রকমারি ফসল উৎপাদনে ও ফলনে ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে।
বৈলতলী ইউ,পি, চেয়ারম্যান এস,এম,সায়েম জানান, এ ইউনিয়নের দক্ষিন পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে শঙ্খ নদী। এ নদীর পানিতে কৃষকদের চাষাবাদ চলত সারা বছর। নদীর তীরবর্তী এলাকা জুড়ে সারা বছর শিম আবাদ করে চাষিরা। এ উপজেলার চারি দিকে পল্লী এলাকার গ্রাম গঞ্জের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া শঙ্খ নদীর বিভিন্ন উপশাখা খাল গুলি ভরাট হয়ে মরুভূমির মত চর জেগে ওঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার স্মৃতিরানী সরকার বলেন, এবারে ৪৮০ হেক্টর শিম চাষ হয়েছে এ জন্য কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।