
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেছেন, কৃষক পর্যায়ে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সকল পর্যায়ের কৃষক যেন সেচ সুবিধা পায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে এজন্য উপজেলার সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করতে হবে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দিনাজপুরের বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ কার্যক্রম এবং বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
দিনাজপুর একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, এখানে সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমরা দিনাজপুরে টমেটো ও লিচু প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করছি।
তিনি বলেন, কৃষক পর্যায়ে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব পর্যায়ের কৃষক যেন সেচ সুবিধা পায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে এজন্য উপজেলার সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকে আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণার বিভিন্ন প্লট পরিদর্শন, ল্যাবরেটরি কার্যক্রম, গম বীজ গ্রেডিং, সুইট কর্ন বীজ উৎপাদন, বছরব্যাপী ব্রিডিং গবেষণা কাজের জন্য গ্রিন হাউস তৈরির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন মো. মেসবাহুল ইসলাম। তিনি গম ও ভুট্টার চাষ বৃদ্ধির জন্য নতুন জাত নিয়ে গবেষণা করার জন্য বিজ্ঞানীদের আহবান জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, বিরল উপজেলার চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ও উপপরিচালকগণ প্রমুখ।