Tuesday, March 21, 2023
Homeপ্রাণীছাগলের অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ছাগলের অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

তড়কা বা অ্যানথ্রাক্স: গ্রীষ্ম প্রধান দেশে তড়কা ছাগলের একটি মারাত্মক রোগ। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ছাগল এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। রোগটি এতই মারাত্মক যে, তড়কার জীবাণু ছাগলে প্রবেশ করার ১২-১৮ ঘণ্টার মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। এমনকি লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই ছাগল মারা যেতে পারে। ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক জীবাণু দ্বারা রোগটি হয়ে থাকে।

লক্ষণসমূহ:

  • প্রবল জ্বর হয়।
  • ক্ষুধা থাকে না এবং জাবর কাটে না।
  • পশু অস্থির হয়ে ওঠে এবং পেট ব্যথা আরম্ভ হয়।
  • বার বার রক্ত মিশ্রিত পায়খানা হয়।
  • রোগাক্রান্ত ছাগল খুব তাড়াতাড়ি অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং মারা যায়।

প্রতিরোধ:
পালের কোন ছাগল হঠাৎ মারা গেলে বা তড়কা হয়েছে বলে সন্দেহ হলে অন্য ছাগলকে দ্রুত শুষ্ক ও উঁচু স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত ছাগলের দ্রুত মৃত্যু হলে কোন নির্জন স্থানে ৬ ফুট গভীর গর্ত করে মৃতদেহ ও অন্যান্য জিনিসপত্র মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

প্রতিকার: 
তড়কা হয়েছে বুঝতে পারলে ৫ লাখ প্রোকেইন পেনিসিলিন রানের মাংসে বা ৫ মিলিলিটার টেরামাইসিন মাংসপেশীতে ইনজেকশন করতে পারলে উপকার পাওয়া যায়।

লেখক: ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রাণিসম্পদ), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল

সংগ্রহীত

এই সম্পর্কৃত আরো খবর

সর্বশেষ

দেড় মণের মিষ্টি কুমড়া দেখতে ভিড়

0
৬০ কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিরগোফা গ্রামের কৃষক সাইফ আহাম্মেদ। আর এই মিষ্টি কুমড়া দেখতে ছুটে...

গোপালগঞ্জে বিষমুক্ত নিরাপদ লাউ চাষে সফল কল্পনা

0
গোপালগঞ্জে মানব দেহের জন্য নিরাপদ বিষমুক্ত লাউচাষে সফল হয়েছেন কল্পনা পান্ডে (৪৫)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর পূর্ব দক্ষিণপাড়া গ্রামের গৃহবধূ। গৃহকর্মের পাশাপাশি তিনি...
- Advertisment -

জনপ্রিয়