
ধনুষ্টংকার মানুষসহ সব গৃহপালিত পশুর ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় দেশে এ রোগ দেখা যায়। ছাগলের সাধারণত খাসি করানো, প্রসব বা অন্য কোন গভীর ক্ষতের কারণে এ রোগ হতে পারে।
লক্ষণ
এ রোগে দেহের বিভিন্ন অংশের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়। ফলে পশুর দাঁতে কপাট লাগে, মাংসপেশীর কম্পন ও খিচুনি দেখা যায়, প্রস্রাব-পায়খানা হয় না, যেকোন শব্দে চমকে ওঠে, শেষ অবস্থায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।
প্রতিরোধ
খাসি করানো বা অন্য কোন অস্ত্রোপচারের আগে ধনুষ্টংকারের টিকা দিতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসম্মতভাবে যেকোন অস্ত্রোপচার করতে হবে।
প্রতিকার
সাধারণত এ রোগের চিকিৎসায় তেমন ফল হয় না। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে ক্ষতস্থান অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এবং মাংসে এটিএস ইনজেকশন দিতে হবে। তাছাড়া উচ্চমাত্রায় পেনিসিলিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। মাংসপেশী শিথিল করার জন্য ক্লোরাল হাইড্রেড ও ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ইনজেকশন দিতে হবে।
লেখক: ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রাণিসম্পদ), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল
সংগ্রহীত