
ক্ষেতের মাটি শুষ্ক প্রয়োজন সেচের। জমির আদ্রতা মেপে তাতে প্রয়োজনীয় সেচের দায়িত্ব দিতে পারেন মেশিনকে। শুধু তাই নয়, জমিতে আগাছা হয়েছে, পোকার আক্রমণ হয়েছে? নিখুঁতভাবে আগাছা আর পোকা দমনের কাজটিও নিজের ইচ্ছে মতোই করবে যন্ত্র। হ্যাঁ এই যন্ত্র ইতোমধ্যেই আবিস্কার করেছে ফার্মবুট নামক একটি প্রযুক্তি নির্মাতা।
বাড়ি উঠানে সবজির বাগান করবেন, কিন্তু শ্রমিক পাবেন কোথায়? এমন টেনশন দুর করতে ভিন দেশে অনেকেরই ভরসা এখন ফার্মবুটে। জমি প্রস্তুত করে আলু, মিস্টিকুমড়া, মটরশুটিসহ অন্তত ৩০ টি ফসলের বীজ বপন, চারা লাগানোর কাজ হরহামেশাই করে এই যন্ত্র। নির্দিষ্ট সময় পরপর জমির আদ্রতা মেপে সেই অনুপাতে সেচও দেয় যন্ত্রটি।
পর্যব্কক্ষণ প্রযুক্তি থাকায়, পোকার আক্রমণ কিংবা আগাছা হয়েছে কি না তারও ব্যবস্থা আছে। ফলে আগাছা এবং কীটের আক্রমণ দেখলে তাৎক্ষনিকভাবে তা মেরে ফেলে। এজন্য ফার্মবুট নিজের যন্ত্রাংশ নিজেই লাগিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করে।
একবার এই মেশিন স্থাপনের পর কয়েক বছর করা যায় চাষাবাদ। সোলার প্যানেলের বিদ্যুৎ দিয়েই চালানো যায় এই যন্ত্র। ফলে খরচও কম। বর্তমানে স্বল্প পরিসরে এই চাষাবাদের শুরু হলেও ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে জমিতে চাষাবাদ করা হবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।
বাংলাদেশের নগর কৃষিতে এমন প্রযুক্তি অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে। কৃষির আধুনিকায়নের পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টিগুন নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে ফার্মবুট কৃষি প্রযুক্তি।