
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার বানী এক ইঞ্চি জমি খালি না রাখা যাবেনা। তাই বস্তা পদ্ধতিতে পতিত, জলাবদ্ধ জমি চাষাবাদের আওতায় এনে নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে এ দেশের কৃষি ক্ষেত্রে সম্মৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।
বস্তা পদ্ধতির চাষের শুরুতে ৩০ কেজি মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো জৈবসার, খৈল ও রাসায়নিক সারের মিশ্রণ বস্তায় ভরে প্রায় তিন ফুট উঁচু করা হয়। কয়েক দিন পর তাতে লাউ, উচ্ছে, করলা, ঝিঙে, পুঁইশাক, মরিচ, আদা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, রসুন, পিঁয়াজ ও পেঁপেসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির বীজ বপন অথবা চারা রোপণ করা হয়। আর এই পদ্ধতিকে বলা হয় বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ।
চাষের পদ্ধতি:
প্রথমেই একটি বড় আকৃতির সিনথেটিক বস্তা নিতে হবে। তারপর বেশি পরিমাণ জৈব সার মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। মাটিতে অধিক সময় ধরে পানি ধরে রাখার জন্য বস্তার নিচে তিন-চার কেজি শুকনো পাতা বা খড় বিছিয়ে দিতে হবে। এরপর প্রস্তুত করা মাটি দিতে হবে বস্তায়। মাটি যেন জমাট বাঁধতে না পারে সে জন্য বস্তার ঠিক মাঝখানে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ২০ থেকে ৪০ মিমি মাপের ইটের টুকরো বা খোয়া দিতে হবে। খোয়াগুলো ভালোভাবে বসানোর জন্য একটি পিভিসি পাইপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কাজ শেষে পাইপটি অবশ্যই খুলে ফেলতে হবে। বীজ বপন করে চাষ করতে পারেন। তবে চারা তৈরি করে লাগিয়ে দেওয়াই ভালো। এই পদ্বতি অনুসরণ করে, বহু স্তরবিশিষ্ট শাকসবজি চাষ বাংলাদেশে একটি নতুন ধারণা। প্রথম দিকে এক বিঘা জমির বস্তায় দৈনিক ১৮ লিটার পানি সেচ করতে হয়। কিছু দিন পর অবশ্য সকাল-বিকেল তিন লিটার করে সেচ দিলেই হয়। আর বৃষ্টি হলে দু-তিন দিন না দিলেও সমস্যা হয় না।
বস্তায় লাগানো লাউ গাছে বড় বড় লাউ ঝুলছে। শুধু লাউ, উচ্ছে, করালা ও ঝিঙে নয়, মাটি ও গবর সার মিশিয়ে তৈরি করা বস্তায় পুঁইশাক, মরিচ, আদা, বরবটি, মিষ্টিকুমড়া, রসুন, পিঁয়াজ ও পেঁপের চাষও করা যাবে।
লেখক: মোঃহুমায়ুন কবির, উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিস, দৌলতখান, ভোলা