Skip to content
chashiseba

chashiseba

কৃষি ও চাষীদের কল্যাণে ব্যতিক্রমী সেবা

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • কৃষি প্রযুক্তি
  • কৃষি অর্থনীতি
  • মাঠ ফসল
  • উদ্যান ফসল
  • মৎস্য
  • প্রাণী
  • দেশের কৃষি
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • রাজশাহী
    • সিলেট
  • অন্যান্য
    • নারী ও কৃষি
    • সফল চাষী
    • ছাদ কৃষি
    • কৃষি চাকরী
চাষী সেবা টিভি
  • Home
  • দেশের কৃষি
  • ঢাকা
  • অন্যান্য
  • ঢাকা
  • সফল চাষী

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে কফি চাষে সফলতা পেয়েছেন এক কৃষক

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে এখন কফি’র চাষ হচ্ছে। উপজেলার মহিষমাড়া গ্রামে সানোয়ার হোসেন নামের এক কৃষক এ কফি চাষের উদ্যোক্তা। তিনি নিজ গ্রামে বাড়ির পেছনে কফির বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত শাখা-প্রশাখায় কফির ফলে ভরপুর। অনেকেই কফি বাগান দেখতে ভিড় করছেন। তারাও কফি চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিভিন্ন ফল-ফসলের পাশাপাশী তিনি সখের বশে গড়ে তুলেছেন এ কফির বাগান। কৃষি বিভাগও বলছে মধুপুর বনে কফি চাষে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

এতে এ অঞ্চলের মাটিতে কফি চাষে দেখা গেছে বিরাট সম্ভাবনা। কৃষকের আগ্রহ কাজে লাগিয়ে কফি চাষেও বিপ্লব ঘটে যেতে পারে।

জানা যায়, ১৯৯২ সালে বিএ পাস করার পর ৪ বছর সিলেটের একটি হাইস্কুলে ইংরেজীতে শিক্ষকতা করেন ছানোয়ার হোসেন। পরে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে বাবার কৃষিতে হাত লাগাতে ফেরেন মধুপুরে আর সফলও তিনি। কফিসহ কমপক্ষে ১০ ধরনের ফলের চাষাবাদ হচ্ছে তার বাগানে। নিরাপদ ফল উৎপাদনে এলাকার মানুষের কাছে তিনি আদর্শ।

চাষী সানোয়ার হোসেন বলেন, চা-কফি খাওয়ার নেশা থেকে এই কফি চারা লাগান তিনি। বান্দরবানের রায়খালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২০১৭ সালে ২০০ চারা কিনে আনেন। দুই বছর পর গতবছর কিছু ফল আসে। আর এ বছর প্রচুর ফল এসেছে। তিনি গতবছরের অভিজ্ঞতায় বলেন, প্রতিগাছে ২ কেজির মতো ফল এলেও শুকিয়ে প্রায় ২৫০ গ্রাম পাওয়া যায়। তবে কফির প্রক্রিয়াজাত করনের যন্ত্র নেই তার কাছে। সরকারের কাছে তার দাবী কফি প্রক্রিয়াজাত করনের যন্ত্র দেয়ার।

তিনি আরো বলেন, কফি চাষ করে আমার ফলন খুবই ভালো হয়েছে। এ চাষাবাদের আমার কোন সমস্যা হচ্ছে না। কৃষি অফিস থেকে আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে। ছয়মাসের মধ্যেই কফির চারা তৈরি করা যায়। তিনি আরো বলেন, বিপনন ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। কফি চাষাবাদে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় কফি চাষে কোন সেচ দিতে হয় না। কম যত্ন নিতে হয়। এর ফলে যে কেউ সহজেই কফির চাষবাদ করতে পারবে।

আগের মতো আনারস চাষে লাভাবান হওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের বাজারে কফির ভালো দাম রয়েছে। আমাদের এ কফিটি মান অন্যন্য জায়াগার থেকে ভালো হবে। তাই এখানে কফি চাষে বিপ্লব ঘটনা যাবে। বিশেষ করে মধুপুরের পাহাড়ি মাটিতে যে কোন ফসলের ভালো ফলন হবে। যে জমিতে পানি উঠে না, সে সব সমতল উর্বর জমিতে কফির চাষাবাদ করা যাবে। ১৮শ’ টাকা থেকে ২২শ’ টাকা কেজিতে কফি বিক্রি হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সানোয়ার হোসেনের ৪৫০টি কফি গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে প্রত্যেক শাখা-প্রশাখা ফলে ভরপুর। কিছু কিছু ফল পাকতেও শুরু করেছে। এছাড়াও তিনি নতুন করে আরেকজন কৃষকের জমিতে ২শ’ কফির চারা রোপন করেছেন। কফির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলনের চাষাবাদ করা হয়েছে।

দর্শনার্থীরা বলেন, নিরাপদ ফল-ফসল উৎপাদনে এলাকার মানুষের কাছে সানোয়ার হোসেন আদর্শ। অনেকেই প্রতিদিন আসেন কফি বাগান দেখতে। জীবনে প্রথম কফি গাছ ও বাগান দেখে তারা অভিভুত। অনেকেই কফি বাগান করার জন্য সানোয়ার হোসেনের পরামর্শ নিচ্ছেন। ওই কফি বাগানের শ্রমিকরা বলেন, ছোট ছোট গোল গোল সবুজ লাল কফিতে ভরপুর তার বাগান। সবুজ কফিগুলো পেকে লাল। এর পর কালো হচ্ছে।

জানা গেছে, এগুলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় শুকালে কফির বিন পাওয়া যায়। পরে মেশিনে গুঁড়া করা হয়। সানোয়ার হোসেনের এই বাগানে কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। কফি বাগানে কাজ করে যে পারিশ্রমিক পান তাতে তাদের সংসার ভালো ভাবে চলছে। এত করে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার বলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কফি চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া গেলে এ অঞ্চলে কফি চাষের এক বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মধুপুরে ছানোয়ার হোসেন এবং আবুল হোসেন নামে দুই জন কফি চাষ করছেন। তারা আমাদের পরামর্শে এবং নিজ উদ্যোগে এ কফি চাষ করছেন। প্রত্যাকটি গাছে কফির ভালো ফলন হয়েছে। নভেম্বর মাসেই এ কফিগুলো পরিপক্ক হয়ে যাবে। কারাগারি সার্পোট দেয়ার জন্য বিষয়টি মন্ত্রাণালয়ে বলা হয়েছে।

টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে সরকারী সহায়তায় কৃষকদের যদি কফি চাষে আগ্রহী করা যায় তবে কফির আমদানী নির্ভরতা কমে আসবে। এত সাশ্রয় হবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।

Post Views: 1,693

Continue Reading

Previous: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী বেকাররা
Next: টাঙ্গাইলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মধ্যে বীজ বিতরণ

এই রকম আরো খবর

ডায়াবেটিস রোগীরোগীদের জন্য নিরাপদ ব্রি ধান-১০৫
  • জাতীয়
  • ঢাকা

ডায়াবেটিস রোগীরোগীদের জন্য নিরাপদ ব্রি ধান-১০৫

রাস্তার পাশে ৪০০ পেঁপে গাছ লাগিয়ে আলতাফের বাজিমাৎ
  • রংপুর
  • সফল চাষী

রাস্তার পাশে ৪০০ পেঁপে গাছ লাগিয়ে আলতাফের বাজিমাৎ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে আঙ্গুর চাষে বাজিমাত জাহিদুলের
  • ঢাকা
  • সফল চাষী

টাঙ্গাইলের সখীপুরে আঙ্গুর চাষে বাজিমাত জাহিদুলের

সর্বশেষ আপডেট

  • লতিরাজ কচুর সহজ চাষাবাদ পদ্ধতিSeptember 26, 2023
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ কোটি টাকার আমন ধানের চারা বিক্রির প্রত্যাশাSeptember 26, 2023
  • ডায়াবেটিস রোগীরোগীদের জন্য নিরাপদ ব্রি ধান-১০৫September 23, 2023
  • বেগুন চাষে ব্যস্ত ইসলামপুরের চরাঞ্চলের চাষীরাSeptember 22, 2023
  • জলবায়ু পরিবর্তন: ধানের নতুন রোগ বিপিবি প্রতিরোধে করণীয়September 22, 2023
বিজ্ঞাপনঃ +8801766 030 186 (বিকাশ)

সম্পাদক ও প্রকাশক: ডি. কৃষিবিদ জিয়াউল হক

বার্তা সম্পাদক: মোফাজ্জল হোসেন

LA Tower (9th Floor), Main Road, Mirpur-02, Dhaka-1216, Bangladesh

Mobile: 01532 473 395 (Office)

E-mail: chashiseba@gmail.com

Copyright © All rights reserved | Chashiseba by Ziaul Hoque Jowel.