
চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে হলুদ জাতের অসময়ের তরমুজ ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ চাষ করছেন কৃষকরা। লাভজনক হওয়ায় এই তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।
তিন বছর আগে সর্ব প্রথম গোল্ডেন ক্রাউন জাতের হলুদ তরমুজের চাষ শুরু হয় চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে। বর্তমানে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে এ তরমুজ চাষ করছেন।
তিন বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষকরা প্রথম হলুদ গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের চাষ শুরু করেন। ফলন ভালো ও লাভজনক হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে এ তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।
এ জাতের তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় চাষ করতে হয়। এতে তরমুজের রোগবালাই কম ও ফলনও ভালো হয়। তরমুজের ওপরের রং হলুদ ও ভেতরের রং টকটকে লাল।
এক বিঘা জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষে কৃষকের খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি কৃষকের লাভ প্রায় লাখ টাকা। ২ মাসের মধ্যে তরমুজ বাজারে বিক্রি করা যায়। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাহিদা বাড়ছে এ তরমুজের।
চাষিরা বলছেন, এটা মাচায় ঝুলে থাকে দেখতে খুবই আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু। লাভবান হওয়াতে বিভিন্ন জেলার চাষিরা বীজ নিয়ে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা থেকে। ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হয় বলেও জানান চাষিরা।
অসময়ে চাষ হওয়ায় এ তরমুজ বেশ লাভজনক। দেখতে আকর্ষণীয় ও খেতে সুস্বাদু বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাশরুর বলেন, গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ গত কয়েক বছরে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। এতে কৃষকদের জন্য যেমন লাভজন তেমনি ভোক্তাদের কাছেও খুব সুস্বাদু এই তরমুজ।
জেলার ৪ উপজেলায় সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ করছেন প্রায় ৫ হাজার কৃষক। কৃষি বিভাগ আশা করছে, সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ।