
ধানের সম্ভাব্য বৃদ্ধির পর্যায়, কাইচ থোড় অবস্থায় চাষিদের কী করতে হবে সে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ সময়ে কোনো সারের প্রয়োজন নেই। শামা ও ফুল্কা ঘাসে এসময় ফুল বের হয়। তাই শামা ও ফুল্কা ঘাস থাকলে পরিষ্কার করতে হবে।
কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা: কাইচ থোড় পর্যায়ে ধানে মাজরা, বাদামি গাছফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, পামরী ও ইঁদুরের আক্রমণ হতে পারে। জমিতে আলোক ফাঁদ (পামরী ব্যতীত) ব্যবহার করা, নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করা, ডালপালা পুঁতে দেওয়া, হাত জাল দিয়ে পোকা ধরা, ডিম ও কীড়া ধ্বংস করা অব্যাহত রাখতে হবে।
সর্বোচ্চ কুশি থেকে কাইচ থোড় পর্যায়ে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুমোদিত কীটনাশক কার্টাপ প্লাস, ভিরতাকো, ডায়াজিনন, কার্বোফুরান, মেলাথিয়ন, ডার্সবার্ন ইত্যাদি পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে, বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ, বিষটোপ ও বিভিন্ন ধরনের জৈবিক পদ্ধতির সহযোগিতায় ইঁদুর দমন করা যেতে পারে।
রোগবালাই ব্যবস্থাপনা: ধান গাছের এ পর্যায়ে আবহাওয়ার বর্তমান এ অবস্থায় পাতাব্লাস্ট রোগ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগ দেখা দেওয়ার পর ট্রুপার আট গ্রাম ওষুধ ১০ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে পাঁচ শতাংশ জমিতে সাতদিন ব্যবধানে পড়ন্ত বিকেলে দুইবার স্প্রে করতে হবে।