
রিফাত হোসাইন সবুজ, নওগাঁ: খাদ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে । প্রতি বছর ইরি-বোরো ধান কাটা মৌসুমে স্থানীয় চাষিরা ধানের নায্য মূল্য না পাওয়ায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান গমের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে মনোযোগ দেওয়ার কারণে ইরি-বোরো ধানের পাশা পাশি মাঠে মাঠে ভুট্টার ফুল বাতাসে দুলছে। এ যেন ভুট্রার গাছে কৃষকের স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে আগাম জাতের ভ’ট্রা রোপণ করায় নিবির পরিচর্যা আর রোগ বালাই কম হওয়ার কারণে রাণীনগরে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গ্রামীন প্রান্তিক জনপদের আবাদযোগ্য জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের পাশাপাশি স্থানীয় চাষীরা ভুট্রার চাষ করায় সবুজে ছেয়ে গেছে মাঠ। ধান চাষের চেয়ে কম খরচে ভুট্টার চাষ ভালো, ফলন বেশি এবং চৈত্র মাসের শেষ দিকে কাটা মারার সময়ে দাম ভালো পাওয়ায় অসময়ে চাষীরা নগদে টাকা হাতে পেয়ে পারিবারিক খরচসহ ইরি চাষের খরচও ভুট্রা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে কিছুটা স্বচ্ছল হয়। যার কারণে এই এলাকায় বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি ভুট্রা চাষের সফলতা আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিল বেষ্টিত এলাকা মিরাট ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে ভুট্রা চাষ শুরু হয়েছে। চলতি বছরে ৮টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষ করা হয়েছে বলে রাণীনগর কৃষি অফিস সূত্রে জান গেছে।
মিরাট ইউনিয়নের জালালাবাদ গ্রামের আলম মেম্বার, নজরুল ইসলাম ও কিসমত হরপুর গ্রামের আজিজার রহমান জানান ইরি-বোরো ধান চাষের পাশাপাশি আমরা গত বছর থেকে ভুট্রার চাষ করছি। রোগবালাই কম, ফলন বেশি এবং ভুট্রা কাটা মাড়ায়ের সময় বাজার দর ভালো থাকায় অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ার কারণে এবারও ভুট্রার আবাদ করেছি। শেষ মুহর্তে আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে বিঘা প্রতি আশা করি ৩৫ থেকে ৪০ মন ভুট্রার ফলন পাবো।
রাণীনগর উপজেলা কুষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবছরে ভুট্টার চাষ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। চাষিরা যেন সঠিকভাবে ভুট্টা চাষ করতে পারে সে জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের ব্লকে ব্লকে ভুট্র চাষিদেরকে নানান পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোগবালাই না হওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে ভুট্রার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।