
শেরপুরের নকলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোড়দারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে আলু ফসলের মাল্টিলোকেশন পারফরমেশন যাচাই এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকায় বীজ আলুর মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

নকলা বিএডিসি হিমাগারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, বিএডিসি হিমাগার শেরপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ খলিলুর রহমান, নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, বিএডিসির উপসহকারী পরিচালক ডিপ্লোমা কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, বিএডিসির আলু চাষী ছামিদুল হক, জয়েন উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে অতিথিরা মাঠে আলু ফসলের ফসলের মাল্টিলোকেশন পারফরমেশন যাচাই করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিএডিসি আলু বীজ হিমাগার নকলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকায় আলু চাষী ছামিদুল হক এর মাঠে বিএডিসির তত্তাবধায়নে ২০টি জাতের প্রদর্শনী বীজ আলু রোপন করা হয়েছে। এ জাত গুলো উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলন হয়েছে সানসাইন, আটাডো ও কুইন আনি। যার মধ্যে সানসাইন প্রতি একরে ৪১টন, আটাডো প্রতি একরে ৩৯ টন ও কুইন আনি প্রতি একরে ৩৬টন উৎপাদন হয়েছে। এ আলো গুলো কোন প্রকার দাগ বা রোগাক্রান্ত হয় নি। বিএডিসি এবছর প্রায় ৫ হাজার টন বীজ আলু বিদেশে রপ্তানি করবে। তাই আগামীতে চাষীরা এ উচ্চফলনশীল জাতের আলু চাষাবাদ করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
এসময় শতাধিক আলু চাষী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।