
শেরপুরের নকলায় সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গুনগত মানসম্পন্ন ও নিরাপদ শিম উৎপাদন শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ডিসেম্বর) বিকেলে উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বিএআরআই কর্তৃক আয়োজিত কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বিএআরসি খামারবাড়ী ঢাকা’র অর্থায়নে উপজেলার জালালপুর এলাকায় ওই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বারি) শেরপুরের প্রকল্পের সহযোগি ইনভেস্টিগেটর ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সামছুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আবেদা খাতুন, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (বারি) জামালপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. তারিকুল ইসলাম, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে (বারি) গাজীপুরের ইনভেস্টিগেটর ও প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোছা. লতিফা ইয়াসমিন, কৃষক শরাফত হোসেন প্রমুখ।
মাঠ দিবসে বক্তরা বলেন, শিম বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। কিন্তু পোকা-মাকড়, রোগবালাই এর আক্রমনে প্রায় ২০-৪১% ফলন কমে যায়। পোকার মধ্যে মাজরা পোকা, জাবপোকা, বিছা পোকা এবং রোগবালাই এর মধ্যে অ্যানথ্রাকনোজ, লিফ স্পট, উইল্টিং, মোজাইক ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কৃষকরা এপর্যন্ত পোকামকড় ও রোগবালাই দমনের নির্বিচারে রাসায়নিক কীটনাশক/ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্নক হুমকী স্বরুপ।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এগুলোর আক্রমন থেকে শিম ফসলকে রক্ষা করার জন্য ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ আঠোলো ফাঁদ, বোটানিক্যালস/উপকারী জীবানুর সমন্বয়ে জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক আইপিএম প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যার মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন করা যায়।
বক্তরা আরো বলেন, আক্রমন প্রায় ৮০% রোধ করা যায়, যা ফল অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই কৃষকের আয় অনেক বেশি হয়। পেস্টিসাইড কম লাগে এবং উৎপাদন খরচ ২৫-৫০% কমে যায়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা উপস্থিত কৃষকদের সরেজমিন গবেষণার ফলাফল দেখিয়ে আইপিএম পদ্ধতিতে শিম চাষে উৎসাহিত করার লক্ষে এর উপকারিতার দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন। এ মাঠ দিবসে ৬০জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহন করেন।