
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সমাজ ভিত্তিক বীজ ভান্ডার গড়ে তুলি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে কৃষক সেন্টু চন্দ্র হাজং এর বাড়িতে ব্রিডিং পদ্ধতিতে তার নিজ হাতে উদ্ভাবিত আমন ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কারিতাস ময়মনসিংহ অ লের এলআরডি প্রকল্পের সহায়তায় মাঠ দিবসে সেন্টু চন্দ্র হাজং এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নালিতাবাড়ী বিনা ধান গবেষনা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জুনিয়র পরীক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, নালিতাবাড়ী কৃষি কর্মকর্তা মো. শরীফ ইকবাল।
অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন কারিতাসের এলআরডির প্রকল্প সুপারভাইজার মি. সনদ দ্রং, কৃষক আব্দুল হাকিম ও কৃষাণী রেনিকা চিরান।
কৃষক সেন্টু হাজং বলেন, ব্রিডিং পদ্ধতিতে এবারের আমন আবাদে দেশীয় বিভিন্ন জাতের ৪শ টি প্লট ট্রায়াল করে রেখেছেন। ইতোমধ্যেই ২০টি জাতের ধান উদ্ভাবন করে এলাকার কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শরীফ ইকবাল বলেন, সেন্টু চন্দ্র হাজং এর উদ্ভাবিত সেন্টুশাইল জাতের ধান ৩৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছে কৃষকরা। অনেকেই একর প্রতি ৪৫ থেকে ৫৫ মণ হারে ধান পাচ্ছেন।
বিনা ধান গবেষনা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, কৃষক সেন্টুচন্দ্র হাজং এর উদ্ভাবিত জাতের ধানগুলো আমরা আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে বীজ প্রত্যয়ন বিভাগে পাঠাবো। যদি ভাল ফলন পাওয়া যায় তাহলে সারাদেশের কৃষকের মাঝে এই বীজ ছড়িয়ে দেয়া হবে। এসময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক কৃষক-কৃষাণীরা সেন্টু হাজং এর প্লটগুলো ঘুরে দেখেন।