Tuesday, March 21, 2023
Homeমাঠ ফসলফুলকপির কার্ড পঁচা রোগের প্রতিকারের উপায়

ফুলকপির কার্ড পঁচা রোগের প্রতিকারের উপায়

বাংলাদেশের শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো ফুলকপি। ফুলকপির চাহিদা বাজারে ব্যাপক। তাই কৃষক প্রচুর ফুলকপি চাষ করে থাকে। কিন্তু বাজারে আমরা প্রায়ই দেখি ফুলকপির ফুল বাদামী গোলাকৃতি দাগযুক্ত। যা ফুলকপির কার্ড পচা রোগ নামেও পরিচিত। এ রোগ ফিউজেরিয়াম ইকোইজিটি ও অলটারনেরিয়া প্রজাতির ছএাক এবং আরউইনিয়া কেরোটোভোরা নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে সৃষ্ট। এ রোগের আক্রমনের কারণে ফুলকপির সম্পূর্ণ ফুল নষ্ট হয়ে যায় বা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়। তাই আসুন জেনে নেই ফুলকপির কার্ড রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সমূহ।

রোগের লক্ষণ: ফুলকপির কার্ডে বা ফুলে প্রথমে বাদামী রং এর গোলাকৃতি দাগ দেখা যায় পরে একাধিক দাগ মিশে বড় দাগ তৈরি করে। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে কার্ডে দ্রুত পঁচন ধরে এবং ফুল নষ্ট হয়ে যায়। আক্রান্ত কার্ড বা মাথা থেকে খুব কম পুষ্পমুঞ্জরী বের হয় এবং ইহা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।

রোগের প্রতিকার: এ রোগের আক্রমন হতে বাচতে প্রথমে সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে প্রোভ্যাক্স বা কাবেন্ডাজিম দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে। ইপ্রোডিয়ন এবং কার্বেন্ডাজিম ছত্রাক নাশক প্রতিটি আলাদা ভাবে ০.২ % হারে মিশে ১২-১৫ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। তবে ঔষধ প্রয়োগের ৫ দিন পর্যন্ত ফসল তোলা যাবে না। প্রয়োজনে স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিসে কৃষিবিদদের পরামর্শানুযায়ী কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

ফুলকপি চাষের একই জমিতে বার বার কপি জাতীয় ফসল চাষ করা যাবে না। আক্রান্ত ক্ষেতে থেকে বীজ সংগ্রহ করা যাবে না। লাল মাটি বা অম্লীয় মাটির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রতি তিন বছরে একবার প্রয়োগ করতে হবে।

এই সম্পর্কৃত আরো খবর

সর্বশেষ

দেড় মণের মিষ্টি কুমড়া দেখতে ভিড়

0
৬০ কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিরগোফা গ্রামের কৃষক সাইফ আহাম্মেদ। আর এই মিষ্টি কুমড়া দেখতে ছুটে...

গোপালগঞ্জে বিষমুক্ত নিরাপদ লাউ চাষে সফল কল্পনা

0
গোপালগঞ্জে মানব দেহের জন্য নিরাপদ বিষমুক্ত লাউচাষে সফল হয়েছেন কল্পনা পান্ডে (৪৫)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর পূর্ব দক্ষিণপাড়া গ্রামের গৃহবধূ। গৃহকর্মের পাশাপাশি তিনি...
- Advertisment -

জনপ্রিয়