
চেরি টমেটোর তিনটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে বিউ চেরি টমেটো-২, বিউ চেরি টমেটো-৪ ও বিউ চেরি টমেটো-৫। জাত তিনটি এ মাসে জাতীয় বীজ বোর্ড বাণিজ্যিকভাবে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা) ড. এ.কে.এম. আমিনুল ইসলাম প্রায় ৮ বছর গবেষণা করে এ তিনটি জাত উদ্ভাবন করেছেন। তিনি জানান, দেশে ভোক্তা ও চাষি পর্যায়ে চেরি টমেটোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিদেশি কোনো জাতকে দেশি আবহাওয়ার উপযোগী করে চাষ করা হচ্ছে। দেশে প্রথম বিদেশি জাতের চেরি টমেটোর সঙ্গে দেশি টমেটোর সংকরায়ণ এবং পরে পিউর লাইন নির্বাচনের মাধ্যমে একেবারে নতুন জাত হিসেবে উদ্ভাবন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিউ চেরি টমেটোর জাতগুলো দেশি আবহাওয়ায় কোনো প্রকার অতিরিক্ত যত্ন ছাড়া দেশি টমেটোর মতোই শীতকালে চাষযোগ্য। এগুলো উচ্চফলনশীল, আকর্ষণীয় আকৃতি ও বর্ণ, খেতে সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং প্রায় বীজহীন।
যে কোনো সবজির মধ্যে রান্নার পর টমেটোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সবচেয়ে বেশি অক্ষুণ্ণ থাকে। আর নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর রান্না ছাড়াই পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। গবেষক বলেন, এগুলোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকায় মানবদেহে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। এ টমেটোতে বেশি পরিমাণে লাইকোপিন থাকায় ত্বকের যত্নে চেরি টমেটো খুবই উপকারী। এ টমেটো গাছের ক্যানোপি কম হওয়ায় ছাদ বাগানেও এ জাতগুলো সহজে উৎপাদন করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া জানান, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের এ অধ্যাপকের হাত ধরে বেশ কিছু শাক-সবজি ও ফলের নতুন জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এবার তিনি চেরি টমেটোর তিনটি জাত যোগ করলেন। উদ্ভাবিত জাতগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ উপকৃত হবে।