
নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৪টি অঞ্চলে বোরো ধান ও রবি ফসলের আবাদ-উৎপাদন কার্যক্রম সার্বিক পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে আট জন অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে মন্ত্রণালয় এ পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে রবি মৌসুমে বোরো ধান ও রবি মৌসুমের ফসল গ্রীষ্মকালীন সবজি, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসল আবাদ ও উৎপাদনসহ ১৪টি কৃষি অঞ্চলের সার্বিক কার্যক্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে করতে হবে।
অঞ্চলভেদে দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন, মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাশ রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চল, পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রউফ চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি অঞ্চল, সার ব্যবস্থাপনা উপকরণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল ইসলাম দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চল, সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল সিলেট বিভাগ, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা যশোর-খুলনা অঞ্চল, নিরীক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাদের কুমিল্লা অঞ্চল, পিপিসি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চল, প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার ঢাকা ময়মনসিংহ অঞ্চলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম এসব কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনা দিবেন। এসব কার্যক্রম সমন্বয় করবেন অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।
দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা ফসলের পরিমাণ নির্ধারণ ও উৎপাদন কার্যক্রম মনিটরিং, ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া কৃষি যন্ত্রসহ সব কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার, বিভিন্ন ফসলের প্রণোদনা ও পুনর্গঠন ক্ষতিপূরণ এবং রাজস্ব বিষয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন, চাষাবাদ পরিদর্শন করবেন। এছাড়া কর্মকর্তারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।
অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয় সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তারা ফসলের উৎপাদন, চাষাবাদ থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজে মাঠে আছেন। কাজ আরও সহজ ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।