
নাঙ্গলকোটে ব্ল্যাক রাইসসহ কয়েক জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন কলেজ শিক্ষার্থী আরিফ হোসাইন। তিনি কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের ছাত্র।
জানা যায়, সে এক একর জমিতে ব্ল্যাক রাইস (কালো রঙের ধান) আবাদসহ ৩০ শতাংশ জমিতে বেগুনি ও ৩০ শতাংশ জমিতে লাল চালের ধান চাষাবাদ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।
আরিফ জানান, এক একর জমিতে ২০ মণ ব্ল্যাক রাইস উৎপাদন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আরিফ প্রথম বারের মতো এ ধরনের ধানের চাষ করেছে। কৃষি বিভাগ যে কোনো প্রয়োজনে তার পাশে থাকবে।
কাল রঙের রহস্য উদঘাটনের জন্য একদল জাপানি গবেষক ২১ জাতের ব্ল্যাক রাইসের ওপর গবেষণা চালিয়ে জানতে পারেন, বিশেষ একটা জিনের প্রাকৃতিক বিবর্তনের কারণে এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্থোসায়ানিন উৎপন্ন হয়। অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে এর ফলন বেশ কম (দশ ভাগের একভাগ) হওয়ায় উৎপাদনের জন্য বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করতে হয়। ইতোমধ্যে আমাদের দেশেও এর অল্পবিস্তর চাষাবাদ হচ্ছে। ইস্পাহানী আগমনী ব্ল্যাক রাইস নামে ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেড ইতোমধ্যে দেশে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এর উৎপাদন করছে।
প্রাচীন চীনের সম্রাট এবং তার পরিষদবর্গ মনে করত ব্ল্যাক রাইস আয়ু বাড়াতে ও যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে। তাই তারা এর প্রত্যেকটি দানা নিজেদের দখলে রাখতে চাইত। সাধারণ জনগণের জন্য ব্ল্যাক রাইস নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ব্ল্যাক রাইসের বিদ্যমান অ্যান্থোসায়ানিন এন্টিঅক্সিডেন্টস স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইহা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে অবদান রাখে। ব্ল্যাক রাইস উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ই এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেলও থাকে বিশেষ করে আয়রন। গবেষণায় দেখা যায়, এক চামচ ব্লুবেরীতে যে পরিমাণ অ্যান্থোসায়ানিন থাকে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ এক চামচ ব্ল্যাক রাইসে থাকে।