
শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর): শেরপুরের নকলায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। লাভজনক এই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সার বীজ ও কৃষি প্রনোদনাসহ পরামর্শ সহায়তা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহী করছে; ফলে দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ও ১ পৌরসভার মধ্যে চন্দ্রকোনা, নারায়নখোলা ও পাঠাকাটা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্রার আবাদ হয়েছে।
এ উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রাান্তিক কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল সুপার সাইন-২৭৬০, এলিট, প্যাসিপিক, মিরাক্কেল, দূরন্তসহ ১০টির অধিক হাইব্রিড জাতের ভুট্টা আধুনিক পদ্ধতিতে ১০ হাজার ১৫০জন কৃষক চাষাবাদ করেছে। মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগী ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। ভুট্টা গাছের পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ফলে একদিকে যেমন কৃষক তার গবাদি পশু পালন ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারে অপরদিকে বাজারে ভুট্রার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক এ ফসলে আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান।
আর তাই উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে এখন ব্যাপক ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১২৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্রার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ১৪৫০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশী লাভ হওয়ায় কম খরচে অধিক মুনাফার আশায় বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে এ উপজেলার কৃষকরা।
নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস যায়যায়দিন’কে জানান, এ বছর ২৩০ জন কৃষকের মাঝে প্রনোদনা হিসেবে ভুট্রা বীজ ও সার দেওয়ায় ভুট্রা চাষের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছেন। কম খরচে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এবার বোরো ধানের জমিতে আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীল পুষ্টি সমৃদ্ধ দানাদার জাতীয় ভুট্টা চাষ করছেন। বাজারে ভালো দাম ও চাহিদা রয়েছে। জমিতে রোগবালাই দমনের জন্য মাঠপর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।