
মরিচ গাছের পাতা কুকড়িয়ে যাওয়ার আক্রমণের ফলে অধিকাংশ চাষিই বিপাকে পড়েন। এ কারণে ফলনও কমে যায়। তবে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
মূলত মরিচ গাছের পাতা মাইট/মাকড় এবং ভাইরাসের আক্রমণে কুকড়ে যায়। মাইটের আক্রমণে কুকড়িয়ে গেলে পাতা নিচের দিকে বাঁকা হবে ও ডগার কুশি কুকড়িয়ে বৃদ্ধি থেকে যাবে। পাতাতে সবুজ-হলুদের মিশ্রণ থাকবে না।
ভাইরাসের ক্ষেত্রে পাতায় সবুজ হলুদের মিশ্রণ থাকবে ও ডগায় কুশি থাকবে।
মাইটের আক্রমণে প্রতিকার: মাইটের আক্রমণ হলে ভার্টিমেক প্রতি লিটার পানিতে ৮-১০ ফোঁটা হারে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। প্রথমবার স্প্রে করার ৩-৫ দিন পর পুনরায় স্প্রে করতে হবে। পাতার নিচের পিঠ সহ পুরো গাছে স্প্রে করতে হবে।
স্প্রে করার আগে কুকড়ানো ডগা কেটে ফেলতে হবে। তবে মাইট আক্রমণের পূর্বেই ইকোম্যাক (বায়ো মাইটিসাইড) ১৫ দিন পর পর স্প্রে করলে ভালো হয়। এছাড়াও পেগাসাস, ওমাইট ইত্যাদি মাইটিসাইড ব্যবহার করা যেতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে ভার্টিমেক মাইট দমনের জন্য খুব কার্যকর।
ভাইরাসের আক্রমণে প্রতিকার: নিয়মিত পর্যবেক্ষণ পূর্বক সাদামাছি, জাবপোকা দমন করতে হবে। এজন্য একতারা বা ইমিটাফ বা এডমায়ার বা টাফগর যেকোন একটি প্রতি লিটার পানির সাথে ৮ থেকে ১০ ফোঁটা মিশিয়ে করা যায়।
লেখক: মুহাম্মদ শাহাদৎ হোসাইন সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি অফিসার প্রেষণে সিনিয়র সহকারি পরিচালক জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা), গাজীপুর ও উদ্ভাবক, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা মোবাইল এ্যাপ।