
একেকটি আমের ওজন তিন থেকে প্রায় পাঁচ কেজি। দেখতে বালিশের মতো হওয়ায় দর্শনার্থীরাও আমটির নাম দিয়েছেন ‘বালিশ আম’।
আমটি আকার-আকৃতিতে যেমন বড় তেমনি খেতেও সুস্বাদু। দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ এ আমের নাম ‘ব্রুনাই কিং’। চার বছর আগে যশোরের খয়েরতলা হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করা একটি আমগাছে এখন সবুজ পাতার মাঝে শোভা পাচ্ছে বৃহৎ আকৃতির এই আম।
যশোরের হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক দীপঙ্কর দাস জানান, চার বছর আগে ‘ব্রুনাই কিং’ জাতের এই আমগাছের চারাটি রোপণ করা হয়। প্রথমে পরিচর্যাগত সমস্যার কারণে ফল পাওয়া যায়নি। তবে এ বছর গাছটিতে ৩৫টি আম ধরেছে। গাছের সবচেয়ে বড় আমটির ওজন প্রায় পাঁচ কেজি, যেটি দেশের সবচেয়ে ‘বড়’ আম। অন্যান্য আমের মতোই একই সময়ে এই গাছের মুকুল আসে। তবে পাকে অনেক দেরিতে এবং স্বাদে ফজলি আমের মতো। চাষি পর্যায়ে এই আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাগেরহাট থেকে আসা হেলাল উদ্দিন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আমি সরকারি চাকরি করতাম। অবসরের পর থেকে বাড়িতে নানা রকম ফলের চারা রোপণ করছি। আজ এখানে কিছু ফল গাছের চারা নিতে এসে এই বড় জাতের আমগাছটি দেখে অবাক হয়েছি। আমটি সম্পর্কে জানলাম। আমিও এর কলম নিয়ে বাড়িতে রোপণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চাষি পর্যায়ে ব্রুনাই কিং জাতের আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে শৌখিন আমচাষিরা এ গাছ রোপণ করতে পারেন, তবে বাণিজ্যিকভাবে রোপণের আগে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণের পরামর্শ কৃষিবিদদের।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট