
সুজানগর (পাবনা) সংবাদদাতা: পাবনার সুজানগরে এ বছর শুঁটকি মাছ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। কম খরছে লাভ বেশি হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরাও শুঁটকি মাছ উৎপাদন করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি শুঁটকি মাছ উৎপাদন হয়েছে বলে মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় শুঁটকি মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ইতোমধ্যে সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার দুলাই, রানীনগর ও হাটখালী ইউনিয়ন এলাকার শুঁটকি চাতালে প্রায় ২০হাজার মেট্রিক টন শুঁটকি মাছ উৎপাদিত হয়েছে। উপজেলার মসজিদপাড়া এলাকার শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন এ বছর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল ছাড়াও আশপাশের ৪/৫টি বিলে প্রচুর পরিমাণে পুঁটি, টেংরা, বান, শোল, টাকি, এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ পাওয়া যায়।
এলাকার পেশাদার মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরা ঐ মাছ কিনে এনে তাদের বাড়ির আশপাশে আবার কেউবা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের পাড়ে বড় বড় বাঁশের চাতাল তৈরী করে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করছি। ইতোমধ্যে দেশের বৃহৎ শুঁটকির আড়ত সৈয়দপুরে প্রায় হাজার মেট্রিক টন শুঁটকি মাছ বিক্রি করা হয়েছে। একই এলাকার মৎস্যজীবী শামীম হাসান বলেন আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করি। সেকারণে দেশ এবং দেশের বাইরে সুজানগরের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
স্থানীয় মৎস্যজীবী মিঠু বলন শুঁটকি মাছ উৎপাদনে সরকারি ঋণ সহায়তা প্রয়োজন। ঋণ সহায়তা পেলে এখান থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ শুঁটকি মাছ উৎপাদন এবং বাজারজাত করা সম্ভব। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অঃদাঃ) সাইফুল ইসলাম বলেন শুঁটকি উৎপাদনকারী মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীরা যাতে সরকারি ঋণ সহায়তা পান সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।