
সুবজ ও ঘন বেগুনি ধানগাছের চারায় জেগে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ধানগাছ দিয়ে ১২০ বিঘা জমিতে পাখির চোখে রংতুলিতে আঁকা হয়েছে এটি। মাত্র ৩০ দিনেই ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি। ধানগাছ দিয়ে বিশাল ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে এই শস্যচিত্র।
ধান আমাদের প্রধান শস্য। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষে বাংলার মাটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তার প্রতিকৃতি। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম বালেন্দা। এই গ্রামের মানুষের উৎসাহে মাটির ক্যানভাসে ধানের চারা দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে, আঁকা হয়েছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’।
শস্যক্ষেতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফসলের খেতে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে তুলে ধরেছি। আমি মনে করি, এটি দেখে বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মসহ সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত হবে।’
মন্ত্রী আজ রবিবার ( ১৪ মার্চ) বগুড়ার শেরপুরে শস্যক্ষেতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পরিদর্শনে করতে গিয়ে এসব কথা বলেন । তিনি মনে করেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ দেশের সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে।
কৃষিমন্ত্রীর মতে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন কৃষি ও কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রথমেই তিনি গুরুত্ব দেন কৃষি উন্নয়নের কাজে। ডাক দেন সবুজ বিপ্লবের। ফলে, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে যেমন আছেন তেমনি বাংলার আকাশে বাতাসে আছেন। এ দেশের সবুজ শ্যামল ভূমির প্রতিটা কণা, শস্যখেতসহ সকলক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি প্রতিকৃতি আমরা দেখতে পাই।
কৃষিমন্ত্রী মনে করেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক ও অবিসংবাদিত নেতা। তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সংগ্রাম-লড়াই এর মধ্য দিয়ে দেশের সাত কোটি মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, সাবেক মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার মো: আলী আশরাফ ভূঁইয়া, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগিবুল হাসান ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।