
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক দেশে প্রথম বারের মত মিষ্টি আলুর উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন ।
গবেষকদের মতে, তারা মোট ৪টি জাত নিয়ে কাজ করেন। এদের মধ্যে তিনটি জাপানি জাত- বেনি, খোকেই ও খোগানে এবং একটি বারি মিষ্টি আলু ১২। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠসহ গাইবান্ধা, শেরপুর, বগুড়া ও শরীয়তপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে জাতগুলোর চাষাবাদ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে জাপানি খোকেই জাতটির আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। হেক্টর প্রতি ফলন ৩০-৩৫ টন।
এতে তৈরিকৃত উন্নত জৈবসার ও মালচিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে। মূল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক। এতে মাঠ পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে মো. মোখলেসুর রহমান মুন্নাসহ তিনজন এমএস শিক্ষার্থী।
অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক বলেন, ‘ভিটামিন-এ এর ঘাটতি পূরণে এ জাতটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বেশ অবদান রাখবে।’
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘সুষম খাবারের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না দেশে। খাবারের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই আমাদের। আমাদের দেশে মিষ্টি আলু সস্তা এবং যথেষ্ট ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ হওয়ায় ভিটামিন-এ এর ঘাটতি পূরণে জাতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
এ গবেষণা কার্যক্রমে অর্থায়ন করে জাপানি সংস্থা জাইকা এবং সার্বিক সহযোগিতা করে জাপানের মারুহিসা কোম্পানি।