
সরিষা পাতা ঝলসানো রোগ(Mustard leaf blight: Alternaria brassicae):
অলটারনারিয়া ব্রাসিসি নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগের সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক অবস্থায় সরিষা গাছের নিচে বয়স্ক পাতায় এ রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে এ ছত্রাকের আক্রমণে গাছের পাতা, কান্ড ও ফলে চক্রাকার কালচে দাগের সৃষ্টি হয়। আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে ঝলসে যায়। ফলে সরিষার ফলন খুবই কমে যায়।
প্রতিকার
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন সরিষার জাত চাষ করতে হবে। ধলি, দৌলত, বারি সরিষ-৭, বারি সরিষা-৮ ইত্যাদি
জাত কিছুটা পাতা ঝলসানো রোগ সহনশীল।
২। রোগমুক্ত বীজ বপন করতে হবে।
৩। বীজ বপনের পূর্বে ভিটাভেক্স-২০০ অথবা ক্যাপ্টান দিয়ে (২-৩ গ্রাম ছত্রাক নাশক/কেজি বীজ) বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।
৪। এ রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে রোভারাল-৫০ ডব্লিউবি বা ডাইথেন এম-৪৫, ০.২% হারে (প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম) পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বা সেপ্র করতে হবে। পরজীবী উদ্ভিদজনিত রোগ দমনঃ সরিষা পরজীবী উদ্ভিদের মধ্যে অরোবাংকি প্রধান। সরিষা গাছের শিকড়ের সাথে এ পরজীবী উদ্ভিদ সংযোগ স্থাপন করে খাদ্য সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। এর ফলে পরজীবী আক্রান্ত সরিষার গাছ দুর্বল হয়, বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফলন হ্রাস পায়। অরোবাংকি এক প্রকার সপুষ্পক পরজীবী উদ্ভিদ এবং এর বংশবৃদ্ধি সরিষা গাছের উপর নির্ভরশীল। এর বীজ মাটিতেই অবস্থান করে। মাটি, ফসলের পরিত্যক্ত অংশ, সেচের পানি প্রভৃতির মাধ্যমে অরোবাংকির উৎপত্তি ও বিস্তার ঘটে। বরাবর একই জমিতে সরিষা পরিবারের ফসল চাষ করলে তাতে পরজীবী বিস্তার ঘটে।
প্রতিকার ১। ফল আসার পূর্বে পরজীবী উদ্ভিদ জমি হতে তুলে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। ২। পরিমিত হারে টিএসপি সার ব্যবহার করতে হবে। ৩। পূর্বে এ রোগে আক্রান্ত জমি গভীরভাবে চাষ করতে হবে। ৪। আগাছা নাশক যেমন ২,৪-ডি ছিটিয়ে পরজীবী উদ্ভিদ দমন করতে হবে।
সংগ্রহীত