
সারা বছর চাষের উপযোগী বারি ৫ এবং তিনগুণ বেশি ফলনশীল বারি ৪ জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছে মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র।
গবেষকরা বলছেন, বার্ষিক ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই পেঁয়াজ। এদিকে উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় মেহেরপুরের চাষিরা শুরু করেছেন ভারতীয় সুখসাগর পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন। এই জাতের পেঁয়াজে দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে কৃষি বিভাগ। সাধারণত পেঁয়াজ রবিশস্য হলেও এবার সেই ধারণা ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। উদ্ভাবন করেছেন সারা বছর চাষপোযোগী পেঁয়াজের জাত বারি ৫।
মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রে এই গবেষণায় তিন বছর আগে সাফল্য পেলেও এবারই প্রথম চাষিদের মধ্যে পরীক্ষামূলক চারা বিতরণে সাফল্যের দেখা মেলে। একই সঙ্গে উচ্চ ফলনশীল বারি ৪ জাত চাষেও মিলেছে সফলতা।
মাগুরা অঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, বারি ৪ ও সারা বছর চাষযোগ্য বারি ৫ জাতের পেঁয়াজ হেক্টরপ্রতি ২৫-২৭ টন পেঁয়াজ উৎপাদন সম্ভব। যেখানে সাধারণ পেঁয়াজে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হয় ৭-৮ টন। কৃষি বিভাগ বলছে, এ জাতের পেঁয়াজে পানি বেশি থাকায় সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা চলছে।