সুজানগর (পাবনা) সংবাদদাতা: বর্ষা শেষে শীতের শুরুতেই পাবনার সুজানগরে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়েছে। কম খরছে লাভ বেশি হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরাও শুঁটকি মাছ উৎপাদনে ঝুঁকছেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার দুলাই, রানীনগর ও হাটখালী ইউনিয়ন এলাকায় শতাধিক শুঁটকি চাতালে রয়েছে। এ বছর ওই সকল চাতালে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২০হাজার মণ। ইতোমধ্যে উপজেলার মৎস্যজীবীরা তাদের বাড়ির আশপাশে আবার কেউবা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের পাড়ে বড় বড় বাঁশের চাতাল তৈরী করে শুঁটকি মাছ উৎপাদন শুরু করে দিয়েছেন।
উপজেলার মসজিদপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী শামীম হাসান জানান, ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলসহ আশপাশের ৪/৫টি বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, শোল, টাকি, এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কিনে ওই সকল চাতালে শুকানো হচ্ছে। একই এলাকার মৎস্যজীবী আব্দুল করিম বলেন আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করি। সেকারণে দেশ এবং দেশের বাইরে সুজানগরের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে দেশের বৃহত শুঁটকির আড়ত সৈয়দপুরে সুজানগরের শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। তবে এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সকল আড়তে শুঁটকি মাছের বাজার মন্দা।
মৎস্যজীবী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলেন মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি মাছ শুকাতে খরচ হয় ৪ থেকে সাড়ে ৪হাজার টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে ১মণ পুঁটি মাছ শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে ৫হাজার থেকে সাড়ে ৫হাজার টাকা যা, প্রায় উৎপাদন খরচের সমান। মৎস্যজীবী মিঠু বলন শুঁটকি মাছ উৎপাদনে সরকারি ঋণ সহায়তা প্রয়োজন। ঋণ সহায়তা পেলে এখান থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ শুঁটকি মাছ উৎপাদন এবং বাজারজাত করা সম্ভব।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অঃদাঃ) সাইফুল ইসলাম বলেন, শুঁটকি উৎপাদনকারী মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীরা যাতে সরকারি সহায়তা পান সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।