
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি জাতগুলো ৫-৬ টন ফলন দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। এখন মানুষ সরু চাল খেতে পছন্দ করে। আগে সরু ও সুগন্ধি ধানের জাতগুলো যেখানে হেক্টরপ্রতি ২-৩ টন ফলন দিত, এখন ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি জাতগুলো ৫-৬ টন ফলন দিচ্ছে; যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত নতুন নতুন অভিঘাত সহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করবে এবং ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল ২০২১) ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ তাপ সহনশীল ধানের প্রস্তাবিত জাত এবং বাসমতি টাইপ ধান, হাইব্রিড ধানের গবেষণা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাতের প্লটসমূহ পরিদর্শন শেষে ব্রি প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সে এর মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান। পরিদর্শনকালে ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর সচিব কে বিভিন্ন গবেষণা প্লট সর্ম্পকে ব্রিফ করেন।

এ সময় তিনি ব্রির বিজ্ঞানীদের উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
পরিদর্শনকালে ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহেদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির মহাপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান, ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. কৃষ্ণপদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আবু বকর ছিদ্দিক এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।