
বিশেষ প্রতিবেদক: নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ফসলের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুন করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। বিনা এ পর্যন্ত ১৭টি ফসলের ১০১টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া ৮টি ফসলের জন্য জীবানু সার উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা দামে সাশ্রয়ী এবং নাইট্রোজেন সারের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়।
সোমবার বিকেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী শেরপুরের সভাকক্ষে, বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলেরর জাত ও প্রযুক্তি সমূহের সম্প্রসারণ ও ভবিষ্যৎ করনীয় বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালায় এ তথ্য জানান, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা)’র মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী।
খামারবাড়ী শেরপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলহাজ¦ মোঃ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ, বিনা’র প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচি উইং এর পরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, বিনা নালিতাবাড়ী উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার প্রমুখ। এ কর্মশালায় শেরপুর ও নেত্রকোনার ২৫ জন কৃষি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বিনা মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী বিনা উদ্ভাবিত ফসলের জাত ও প্রযুক্তি সমূহ কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠের অভিজ্ঞতার আলোকে বিনা ফসলে সার ও সেচ সমন্বয়ে সমস্যা, কিছু ধানে চিটা হওয়ার প্রবণতা, ফলনের তারতম্য এবং শস্য বিন্যাসে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন।