Skip to content
chashiseba

chashiseba

কৃষি ও চাষীদের কল্যাণে ব্যতিক্রমী সেবা

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • কৃষি প্রযুক্তি
  • কৃষি অর্থনীতি
  • মাঠ ফসল
  • উদ্যান ফসল
  • মৎস্য
  • প্রাণী
  • দেশের কৃষি
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • রাজশাহী
    • সিলেট
  • অন্যান্য
    • নারী ও কৃষি
    • সফল চাষী
    • ছাদ কৃষি
    • কৃষি চাকরী
চাষী সেবা টিভি
  • Home
  • মৎস্য
  • পুকুর থেকে অবাঞ্চিত মাছ দূর করার পদ্ধতি
  • মৎস্য

পুকুর থেকে অবাঞ্চিত মাছ দূর করার পদ্ধতি

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

পুকুর হতে মৎস্যভুক ও অবাঞ্চিত মাছ দূর করা অতিব প্রয়োজন। যাতে মাছ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আসুন জেনে নেই খুব সহজেই কিভাবে অবাঞ্চিত মাছ দূর করা যায়।

অবাঞ্চিত মাছ দূর করার পদ্ধতি সমূহ: 

১. পানি শুকিয়ে ২.ঘন ফাঁসের জাল টেনে ৩.জীবন্ত টোপ ব্যবহার করে  ৪.খাবার দেওয়ার পর ঝাঁকি জাল ব্যবহার করে  ৫.মাছ মারার ঔষধ ব্যবহার করে।

পানি শুকিয়েঃ পুকুর হতে মৎস্যভূক ও অবাঞ্চিত মাছ দূরীকরসের সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হলো শ্যালো মেশিন দ্বারা পানি সেচে পুকুর শুকিয়ে ফেলা। পুকুর শুকানোর অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও প্রায় সময়ই সে কাজটি ঘটে উঠেনা কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ পুকুর গুলো তৈরি করা হয়েছিল পারিবারিক কাজে পানি সরবরাহের নিমিত্ত্বে। মাছ চাষের নিমিত্ত্বে নয়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও যদি পুকুর শুকানো সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই দেখতে হবে আপনি যে মৌসুমে পুকুর শুকাতে চান সে মৌসুম আসলেই পুকুর শুকানো উপযোগী কি না। কারণ পুকুর শুকানের পরে পুকুরের তলা কম পক্ষে ১৫ দিন কড়া রোদে ফেলে রাখলে তলদেশ ফেটে যাবে ফলে বিভিন্ন ধরনের বাজে গ্যাস দূর হবে। তলদেশের কাদার মধ্যে যে সমস্ত মৎস্যভূক লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে সে সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যাবে। একাজটি ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে করলে খরচও অনেকটা কম হবে।

ঘন ফাঁসের জাল টেনে : পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে পুকুরের তলদেশ যদি সমতল থাকে সে সমস্ত পুকুর যতদূর সম্ভব পানি কমিয়ে দিয়েও বার বার ঘন ফাঁসের জাল টেনেও মৎস্যভূক ও অবাঞ্চিত মাছ বহুলাংশে দূরকরা যেতে পারে। যত ভাল ভাবে জাল টেনে মৎস্যভূক দূর করা হোক না কেন তবুও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছু না কিছু মাছ থেকে যেতেই পারে। তাই জাল টেনে মৎস্যভূক মাছ দমন করে যদি পুকুরে পোনা মজুদ করতে হয় তাহলে অবশ্যই বড় সাইজের (৪-৬ ইঞ্চি) পোনা মজুদ করতে হবে।

জীবন্ত টোপ ব্যবহার করে : অনেক সময় জীবন্ত মাছকে বড়শীতে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে মৎস্যভূক মাছ যেমন- শোল, গজার, বোয়াল, মাগুর প্রভূতি দূর করা যেতে পারে। যেহেতু এই জাতীয় মাছ গুলো রাক্ষুসে (Predator) স্বভাবের তাই ছোট মাছ যেমন- পুঁটি, খলিসা, টেংড়া প্রভূতি মাছকে টোপ হিসেবে বড়শিতে গেঁথে রাত পুকুরে দিয়ে রাখলে অনেক সময় এই জাতীয় মাছ তাদের সহজাত প্রবৃুত্ত অনুযায়ী জীবন্ত মাছকে ভক্ষণ করার চেষ্টা করবে তখন বড়শীতে আটকে যাবে। তবে এ পদ্ধতির কর্যকারীতা এবং পরিচিতি খুব একটা নেই।

খাবার দেওয়ার পর ঝাঁকি জাল ব্যবহার করে : এই পদ্ধতিতেও অনেক সময় মৎস্যভূক ও অবাঞ্চিত মাছ দূর করা যেতে পারে। পুকুরের কয়েকটি নিদিষ্ট অংশে খাদ্য প্রয়োগ করলে মাছ যখন খাদ্য গ্রহণের জন্য খাদ্য প্রয়োগকৃত অঞ্চলে যাবে তখন ঝাঁকি জালের মাধ্যমে খুব সহজে তাদেরকে ধরে ফেলা যেতে পারে। তবে এই পদ্ধতির ব্যবহার খুবই সীমিত।

মাছ মারার ঔষধ (বিষ) প্রয়োগ : মৎস্যভূক ও অবাঞ্চিত মাছ দূর করার ক্ষেত্রে পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে এর পরে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো মাছ মারার ঔষধ (বিষ) প্রয়োগ করে তা দূর করা। বিষ প্রয়োগের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিষের ধরণ ও বিষক্রিয়ার মেয়াদকালের বিষয়টি বিশেষ ভাবে বিবেচনা করতে হবে। কারণ বাজারে এমন কিছু নিষিদ্ধ ঘোষিত অননুমোদিত বিষ পাওয়া যায় যা ব্যবহারে আপাত দৃষ্টিতে অর্থ সাশ্রয় মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে অনেক বেশি খরচ হয়ে যায়। তাই সচেতন মৎস্যচাষী হিসেবে আপনি অবশ্যই এ ব্যপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। এক্ষেত্রে সঠিক বিষটি বেছে নিয়ে আপনার পুকুরে প্রয়োগ করতে পারেন।

রোটেনন : রোটেনন হচ্ছে ডেরিস নামক গুল্ম জাতীয় একপ্রকার গাছের মূল (শিকড়) থেকে তৈরি এক ধরনের পাউডার জাতীয় পদার্থ যা দেখতে হালকা বাদামী বর্ণের। এ গুল্ম সাধারনত দক্ষিণ আমেরিকার পেরু নামক দেশে প্রচুর পরিমাণে জন্মা। আমাদের দেশে এ জাতীয় গাছ জন্মায় না। যদিও রোটেনন তরল এবং পাউডার দুই অবস্থাতেই পাওয়া যায় তবে আমাদের দেশে পাউডার জাতীয় রোটেননই পাওয়া যায় এবং তা ব্যবহৃত হয়। রোটেননের শক্তি মাত্রা মধ্যে বিদ্যমান মূল কার্যকারী উপাদানের উপর নির্ভরশীল। বাজারে ৩ ধরনের শক্তি সম্পন্ন রোটেনন পাওয়া যায়। যেমন- ৫%, ৭%, এবং ৯%। তবে ৯% শক্তি সম্পন্ন রোটেননই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। রোটেননের মাত্রা নির্ভও কওে এর শক্তিমাত্রা এবং জলজ পরিবেশের তাপ মাত্রার উপর। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে রোটেননের মাত্রা কমে যাবে। তাই শীতকলে রোটেনন প্রয়োগের ক্ষেত্রে গরম কালের চেয়ে বেশী পরিমান রোটেনন লাগবে।

Post Views: 2,154

Continue Reading

Previous: মাছের রোগ বালাই লক্ষণ ও প্রতিকার
Next: দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষে সফল নকলার শামীম

এই রকম আরো খবর

গ্রীষ্মকালে মাছ চাষে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
  • মৎস্য

গ্রীষ্মকালে মাছ চাষে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে

শীতে হাঁস-মুরগি ও মাছের যত্ন নেবেন যেভাবে
  • মৎস্য

শীতে হাঁস-মুরগি ও মাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

শীতে মাছের খামারের যত্ন নেবেন যেভাবে
  • মৎস্য

শীতে মাছের খামারের যত্ন নেবেন যেভাবে

সর্বশেষ আপডেট

  • লতিরাজ কচুর সহজ চাষাবাদ পদ্ধতিSeptember 26, 2023
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ কোটি টাকার আমন ধানের চারা বিক্রির প্রত্যাশাSeptember 26, 2023
  • ডায়াবেটিস রোগীরোগীদের জন্য নিরাপদ ব্রি ধান-১০৫September 23, 2023
  • বেগুন চাষে ব্যস্ত ইসলামপুরের চরাঞ্চলের চাষীরাSeptember 22, 2023
  • জলবায়ু পরিবর্তন: ধানের নতুন রোগ বিপিবি প্রতিরোধে করণীয়September 22, 2023
বিজ্ঞাপনঃ +8801766 030 186 (বিকাশ)

সম্পাদক ও প্রকাশক: ডি. কৃষিবিদ জিয়াউল হক

বার্তা সম্পাদক: মোফাজ্জল হোসেন

LA Tower (9th Floor), Main Road, Mirpur-02, Dhaka-1216, Bangladesh

Mobile: 01532 473 395 (Office)

E-mail: chashiseba@gmail.com

Copyright © All rights reserved | Chashiseba by Ziaul Hoque Jowel.