রংপুরসফল চাষী

‘কালো ধান’ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন রংপুরের মিলন

বিদেশি জাতের কালো ধান (ব্ল্যাক রাইচ) চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন রংপুরের চব্বিশ হাজারির উত্তরপাড়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মিলন রায়। বিদেশি জাতের এ ধান উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় তার দেখা দেখি এলাকার চাষিরাও ব্ল্যাক রাইচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বীজ সংগ্রহ করে এ জাতের ধান চাষ করবে বলে জানিয়েছেন অনেক চাষি।

রংপুর নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চব্বিশ হাজারির উত্তরপাড়া গ্রামে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মিলন রায় সামাজিক যোগায়োগ মাধ্যম থেকে প্রথম এ ধানের চাষাবাদ সম্পর্কে জানতে পারেন। পরে ৫০০ টাকা দিয়ে পঞ্চগড় থেকে সাবেক একজন সেনা সদস্যের কাছ থেকে ২ কেজি বীজধান কিনেন। মাত্র ২০ শতক জমিতে ব্ল্যাক রাইসের পাশাপাশি ২৫ শতক জমিতে বি-৫২ জাতের ধান চাষ করছেন। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই।অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ধান চাষে।

কৃষি উদ্যোক্তা মিলন রায় বলেন, ব্ল্যাক রাইসকে স্বাভাবিক ধানের মতোই পরিচর্যা করতে হয়। অতিরিক্ত কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন না হলেও অন্য ধানের তুলনায় অধিক লাভবান হওয়া যাবে। এবারই পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন। তিনি বাণিজ্যিকভাবে এটি বিক্রির বিষয়ে অনেকটাই চিন্তিত। উৎপাদিত এই কালো রঙের চাল কোথায় বিক্রি করবেন তা এখনো জানেন না।

স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে যোগাযোগ করেননি। ধান কাটাই মাড়াইর পর যোগাযোগ করবেন।

রংপুরের উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, কালো জাতের ধান বা ব্ল্যাক রাইস রোপণের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি তিনি (মিলন রায়)। এটি সম্পূর্ণ কৃষি বিপণন অধিদফতরের অন্তর্ভুক্ত। কয়েকটি অ্যাপসের মাধ্যমে এ ধরনের ব্যতিক্রমী কিছু চাল বিক্রি করে থাকেন। বাণিজ্যিকভাবে বাজারে এই ধানের চাল বিক্রি করা অনেকটাই কঠিন কিন্তু কিছু কিছু সুপারশপে এটি বিক্রি করা সম্ভব। কৃষি বিভাগের কাছে সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই করা হবে।